সোনা পাচারে অভিনব কৌশল উদ্ভাবন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে গরু পাচারের ঘটনা ঘটছে হর হামেশাই। কিন্তু এবার মিলেছে অভিনব তথ্য। অবৈধভাবে নেপালে গরু পাচারের সময় ধরা পড়া একটি গরুর পেটে মিলেছে ধাতব পদার্থ। এখনো নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে গরুর পেটে এই অভিনব পদ্ধতিতে সোনা পাচার করা হচ্ছে। এসব পদার্থ গরুর পেটে অস্ত্রপচার করে প্রবেশ করানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারত-নেপাল সীমান্তের শিলিগুড়ি পানি ট্যাঙ্কির কাছে নয়াবস্তিতে ৯৩টি গরু উদ্ধার করে এএসবি। উদ্ধার হওয়া একটি গরুকে ঘিরে দানা বাঁধে রহস্য। গরুটির শিং-এ লাল রঙ আর পেটে কাটা দাগ দেখে সন্দেহ হয় এসএসবি’র।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ৯৩টি গরুর মধ্যে একটি গরুর সিং-এ লাল রঙ ও পেটে সেলাইয়ের দাগ ছিল। সন্দেহ হওয়ায় বোম স্কোয়াড দিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায় গরুর পেটে বিস্ফোরক নেই। তবে মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে গরুটির পেটের ভিতর কোন ধাতব বস্তু আছে। ধাতব বস্তুটি কি হতে পারে সেটা জানার চেষ্টা চলছে।
গত পরশু ভারত নেপাল সীমান্তে পানি ট্যাঙ্কির কাছে এই গরুগুলির মধ্যে একটি গরুর সিং-এ লাল রঙ করা ছিল। পেটের তলার দিকে দুটি কাটা দাগের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সেখানে বোঝা যাচ্ছিল। এসএসবি ওই ৯৩টির মধ্যে ৯২টি শুল্ক বিভাগে জমা দিলেও ওই গরুটি জমা রাখে নিজেদের কাছে। বড় গরুর এক্স রে করার পরিকাঠামো নেই। অনেক টানাপোড়নের পর সেনা হাসপাতালে আনা হয় ওই গরুটিকে। সেখানেই পরীক্ষা করে দেখা হবে কোন ধাতব পদার্থ আছে কিনা। তবে এসএসবি নিশ্চিত গরুর মাধ্যমেই চোরাকারবারীরা তাদের কাজ চালায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির